দীপংকর পাল নামের এক যুবক স্বপ্না মিত্র নামে সন্তানসম্ভবা এক নারীকে শনিবার হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি (দীপংকর পাল) স্বপ্নার স্বামী পরিচয় দিয়ে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করান। তার সঙ্গে ছিলেন বয়স্ক এক নারীও। যাকে স্বপ্নার মা বলে নার্সিংহোমে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে ভর্তির পর স্বপ্নাকে নার্সিংহোমের একটি কেবিনে রাখা হয়।
রোববার সকালে অস্ত্রোপচারে ভূমিষ্ঠ হয় স্বপ্নার শিশুটি।
পরে একই দিন বিকেলে হর্ষ ক্ষেত্রী নামের অপর এক যুবক নার্সিংহোমে শিশুসন্তানটিকে দেখতে গেলে হইচই বেধে যায়।
হর্ষ দাবি করেন, স্বপ্না মিত্র তার স্ত্রী। ওই শিশুসন্তানের বাবা তিনিই। তাদের বিয়ের কাগজপত্রও দেখান হর্ষ।
তখনই শিশুসন্তানটির পিতৃত্ব নিয়ে গোলযোগ সৃষ্টি হয়।
পরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ স্থানীয় নেতাজিনগর থানার শরণাপন্ন হয়।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার সকালে হাজির হয় প্রদীপ রায় নামের আরেক যুবক। তিনিও ওই নার্সিংহোমে গিয়ে দাবি করেন, স্বপ্না তার স্ত্রী। তিনিও একইভাবে বিয়ের যাবতীয় কাগজপত্র দেখান।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণ কলকাতার বাঘা যতীন এলাকার গাঙ্গুলি বাগানের একটি নার্সিংহোমে।
এদের মধ্যে শিশুটির বাবা আসলে কে? সে পরিচয় নিশ্চিত হতে এরই মধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, স্বপ্নাকে জিজ্ঞাসা করে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে সুস্থ হওয়ার পর তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান পুলিশ।